শিক্ষার আলো ডেস্ক
ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের তদন্তে নাম আসা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান থেকে অব্যাহতি পাওয়া অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সাত দিন সময়ে বেধে দেওয়া হয়েছে। এরপর বিষয়টি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে সিন্ডিকেট আনুষ্ঠানকিভাবে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যার সময়সীমা সাত দিন। এরপর অফিসিয়ালি বিষয়টি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটি সিন্ডিকেটে যাবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক জড়িতদের নাম। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট থাকা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে কর্মরত একাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা মিলেছে।
পরে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে। নিখিল রঞ্জন বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ছিলেন। গত ২১ নভেম্বর তাকে বিভাগের প্রধান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
Discussion about this post