অনলাইন ডেস্ক
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের আট চিকিৎসকসহ ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রোগীদের খাবার কম দেওয়ায় আউটসোর্সিংয়ের এক কর্মচারীকে অব্যাহতি দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সদর হাসপাতালে ঝটিকা সফরে যান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ সময়ি তিনি হাসপাতালের অনিয়ম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর বিকালে তাদের শোকজ করা হয়।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নড়াইল সদর হাসপালে ঝটিকা সফরে যার মাশরাফি। এ সময় তিনি রোগীদের ঠিক মতো খাবার না পাওয়া, ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক ও মেডিক্যাল প্যাথলজিস্টদের সময়মতো হাজির না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। তিনি শিশু ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে ১৭ জনের জায়গায় তিন জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসক-নার্সরা ঠিকমতো রোগী দেখেন না। বাথরুম অপরিষ্কার থাকে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সী বলেন, সকাল ৯টার পর আসায় আট জন চিকিৎসক ও দুই জন মেডিক্যাল প্যাথলজিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশু ওয়ার্ডে শুক্রবার রাতে ১৭ জনের জায়গায় তিন জনকে খাবার দেওয়ায় ডায়েডের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আউটসোর্সিংয়ের এক কর্মচারীকে অব্যাহতি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, হাসপাতালে দূর-দূরান্ত থেকে গরিব মানুষ আসে। তাদের খাবার ঠিকমতো দেওয়া হয় না। ঠিকমতো অফিস করেন না চিকিৎসকরা। রোগীরা খাবার-ওষুধ পায় না, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
Discussion about this post