অনলাইন ডেস্ক
সামান্য অসতর্কতা বা অসাবধানতায় মুহূর্তেই ঝলসে যাচ্ছে পুরো শরীর। শীতকালে গোসলের গরম পানি, আগুন পোহানো অথবা গরম খাবারের পাতিলসহ নানা কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। আগুনের ঘটনার বেশি শিকার হয় শিশুরা। এজন্য প্রয়োজন যথাযথ সচেতনতা ও প্রচার।
কয়েক সেকেন্ডের সামান্য অসর্তকতায় ফুটন্ত ডাল পড়ে পুরো শরীর ঝলসে গেছে ছোট্ট ইকরার। তার মা জানান, মেয়ের কান্না শুনে ছুটে এসে দেখেন, ইকরা মাটিতে পড়ে কান্নাকাটি করছে। তার গায়ে পড়েছে গরম পানি। রাজধানীর শেখ হাসিনা র্বাণ ইনস্টিটিউটে জরুরি বিভাগ থেকে আইসিইউ র্পযন্ত পোড়া রোগীদের এমন অসহনীয় দৃশ্য চোখে পড়বে। আর এই দুর্ঘটনায় বেশি শিকার হয় শিশুরা। মুহূর্তের অসর্তকতায় কড়াইয়ের পানি পড়েছে কারও গায়ে, তাপ পোহাতে গিয়ে জামায় আগুন ধরে যাওয়া- এমন বহু ঘটনায় ঝলসে গিয়ে সেখানে চিকিৎসা নিতে এসেছে শিশুরা। অসাবধানতাবশত, শীতকালে বেড়ে যায় পোড়া রোগীর সংখ্যা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা সামন্ত লাল সেন মনে করেন, কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে কমে আসতে পারে পোড়া রোগীর হার। তিনি বলেন, বাচ্চারা সাধারণত পুড়ে যায় অসাবধান থাকার কারণেই। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই কমে যেতে পারে এই হার। যেমন, শীতকালে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করে। পানি গরম করে ডেকচিতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। ধাক্কা লাগলে সেখান থেকে পানি পড়তে পারে গায়ে। কিন্তু ফুটন্ত পানি বালতিতে করে নিয়ে গেলে কিন্তু এমনটা ঘটে না। তাছাড়া বাথরুমে অনেক সময়ই গামলায় গরম পানি রাখা হয়। বাচ্চারা গিয়ে অনেক সময় সেখানে বসে পড়ে। আর এমন দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণের প্রধান উপায় হচ্ছে অসচেতনতা। তাই বেশ কিছু সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র।
জেলা উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানো এবং প্রচার মাধ্যমে তা সবাইকে জানানোর মাধ্যমেই কমতে পারে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
Discussion about this post