শিক্ষার আলো ডেস্ক
পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক শীতকালীন ছুটি শুরু হবার কথা। এরই মধ্যে মূল্যায়ন শেষ করে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। এর একদিন আগে শনিবার প্রাথমিকের বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছেন ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস চালিয়ে যেতে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন শিক্ষকরা। সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা এতে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেও দেখা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শীতকালীন বন্ধ নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২১ খ্রিস্টাব্দের বার্ষরিক ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী দেশের প্রায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৌখিক বা লিখিত মূল্যায়ন শেষ করা হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বা দূর দূরান্তে বেড়াতে গেছে।
ঢাকা এবং এর আশেপাশের বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের পূর্ব নির্ধারিত ছুটি অনুযায়ী নতুন কোন নির্দেশনা না আসায় শিক্ষকরা মূল্যায়ন সম্পন্ন করে ফেলেছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তাছাড়া মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসাসহ সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরও ১০ দিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হচ্ছে না। শিক্ষকদের প্রশ্ন, এই অবস্থায় তারা কাকে পাঠ দান করাবেন? শিক্ষক সংগঠংনগুলো সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৯ ডিসেম্বর থেকেই ছুটি কার্যকর করার দাবি জানান। এই বিষয়ে তারা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একই পরিবারের প্রাথমিকের শিশুরাও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একেবারেই কম। এই অবস্থায় আমরা ১৯ ডিসেম্বর থেকেই শীতকালীন ছুটি মঞ্জুরের দাবি জানাচ্ছি। আশকরি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুবিবেচনায় রাখবেন।
Discussion about this post