অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাস নিয়োগ পেয়েছেন। তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে মার্কিন সিনেট। কণ্ঠ ভোটে ১৮ ডিসেম্বর নিয়োগ চূড়ান্ত হয় বলে মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বর্তমান রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন পিটার। পিটার ডি হাস বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রবার্ট মিলার। গত জুলাই মাসে পিটারের নাম প্রস্তাব করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ স্থানীয় সময়ে তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করে সিনেট। পিটার ডি হাস যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি একজন পেশাদার কূটনীতিক।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, পিটার ডি. হাস মরক্কোর মার্কিন দূতাবাসে কূটনীতিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর বৃটেন ও ভারতে মার্কিন দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিনি বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আর্ল আর মিলার ২০১৮ সালের ১৩ই নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি র্যাব ও প্রতিষ্ঠানটির ৭ জন ব্যক্তিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়টি সমালোচনার জন্ম দেয়। রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর তীব্র প্রতিবাদও জানায় বাংলাদেশ। এর কিছুদিন পরেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের প্রশাংসা করা হয়। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় র্যাবের দাবির কথাও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি-শৃঙ্খলার বিষয় দেশগুলোর ভূমিকা নিয়েও বিস্তারিত মতামত দেয়া হয়।
Discussion about this post