নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অর্থ প্রধানমন্ত্রী তহবিলের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২০টি। এতে প্রায় চার লাখ শিক্ষক কর্মরত রয়েছে। এ ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে প্রত্যেক উপজেলা পর্যায়েও কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা সবাই মিলে এবার প্রায় ১১৫ কোটি টাকা বৈশাখী ভাতা পাবেন। সেখান থেকে ২০ শতাংশ অর্থ অর্থাৎ প্রায় ২৩ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, শিক্ষক নেতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অনেকে বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশের বেশি দিতে চাচ্ছেন। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সকল শিক্ষকই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই অর্থ পৌঁছে দেব।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী বলেন, ‘বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কারণ আমাদের পক্ষে এককভাবে বড় কোনো সহায়তা করা সম্ভব নয়। তবে সবাই সম্মিলিতভাবে সহায়তা করলে বড়কিছু করা সম্ভব। করোনাভাইরাসের কারণে নিম্নজীবী মানুষেরা অনেক দুঃখ কষ্টে আছেন। তাদের সামান্য সহায়তা করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
জানা যায়, দেশের সব জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, পিটিআই সুপারদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা ডিপিইতে পাঠাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে সকল জেলা অফিস বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের কার্যালয়ে জানাবেন। এরপর বিভাগীয় উপ পরিচালকরা ডিপিইতে প্রতিবেদন পাঠাবেন। চলতি সপ্তাহেই অর্থ সংগ্রহের কাজ শেষ করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
Discussion about this post