শিক্ষার আলো ডেস্ক
চট্টগ্রামে স্বামীর নির্যাতনে মাহমুদা খানম আঁখি (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি চট্রগ্রামের সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী আইনজীবী মো. আনিসুল ইসলামসহ দুজনকে আটক করেছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্রগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা আনিসের সঙ্গে শিক্ষার্থী আঁখির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা নগরের চান্দগাঁও থানার পাঠানিপুল এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। এরই মধ্যে গত বছর ধরে তাদের মধ্যে নানান বিষয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের পারিবারিক কলহ চরমে পৌঁছে।
মৃত আঁখির দুলাভাই আবুল কালাম জানান, ‘যৌতুকের দাবিতে প্রায় আঁখিকে মারধর করতেন তার স্বামী। ছয় মাস আগে তার ফোন কেড়ে নেয়। কয়েকদিন আগে আঁখির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। শনিবার পেটে লাথি মারলে গুরুতর আহত হয় আঁখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বলেছেন, মারধরের কারণে আঁখির নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে গেছে। রবিবার পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, তার পেটের নাড়ি ছিঁড়ে গেছে। সেখানে সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, ‘স্বামীর নির্যাতনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আঁখির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার পর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনাস্থল চান্দগাঁও থানায়, মামলা হলে সেখানেই তাদেরকে মামলা করতে হবে।’
Discussion about this post