নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গতবছর বই উৎসব করা সম্ভব হয়নি। এ বছরও করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বই উৎসব করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘এ বছরও বই উৎসব করার মতো পরিস্থিতি আমাদের নেই। সব স্কুলেই ক্লাস ধরে ধরে বই বিতরণ করা হবে। এতে কোনও সমস্যা হবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতুয়াইলে ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের তিনি এসব কথা বলেন।
ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রেসে দেখলাম, কাজ পুরোদমে চলছে। কাজ সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে বই বাঁধাই হয়ে যাবে।’
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৫ শতাংশের বেশি বই পৌঁছে যাবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘বাকি বই ৭ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে। শিক্ষার্থীরা সময়মতো বই হাতে পেয়ে যাবে।’ তবে স্বাস্থ্যবিধির কারণে ১ জানুয়ারি বই দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৭ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সবটাই হয়ে যাবে। তারপরও স্বল্প সংখ্যক বাদ থাকতে পারে। সেটাও আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শিশুদের হাতে দিতে পারবো।’
দীপু মনি বলেন, ‘এনসিটিবির পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুই দিন প্রেস পরিদর্শনে আসে। ২০০টি প্রেসে কাজ চলছে ১৫৮টি মাধ্যমিকে আর ৪২টি প্রাথমিকে। আর যে কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে, তারা নিয়মিত পরিদর্শনে আসে। প্রাক-প্রাথমিক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। সেটা সমাধান হয়ে গেছে।’
২০২৩ সাল থেকে দেশে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হচ্ছে। তার আগেই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল মাধ্যমিকের ১০০টি এবং প্রাথমিকের ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তবে গবেষণার জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং হলে সমস্যা নেই বলেও জানান দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাতটি প্রতিষ্ঠানের পাইলটিংয়ে থাকছে মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণি এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি। এই দুই শ্রেণির বইগুলো ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে।’
Discussion about this post