শিক্ষার আলো ডেস্ক
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) আবাসিক হলে বিবাহিত ছাত্রীদের আসন থাকা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের পর ওই নিয়ম বাতিলের উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মাভাবিপ্রবি বিবাহিত ছাত্রীদের ব্যাপারে যে লিখিত বিধানটি ছিল সেটি শুধুমাত্র কাগজ-কলম পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। বিধানটি কখনোই প্রয়োগ করা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও আর প্রয়োগ হবে না। তাই নিয়মটি থাকা না থাকা নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।
গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির আলেমা খাতুন ভাসানী ছাত্রীনিবাসে বিবাহিত ছাত্রীদের আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। পরে এ নির্দেশনার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রয়া শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) আলেমা খাতুন ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রোকসানা হক রিমি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা স্থগিত করা হয়।
আলেমা খাতুন ভাসানী হলের বিবাহিত আবাসিক ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ স্থগিত হলেও আইনটি বাতিল হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান জানান, বিবাহিত আবাসিক ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশনাটি শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে তা স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিবাহিত শিক্ষার্থীদের হলে থাকা না থাকার ব্যাপারে একটি লিখিত বিধান ছিল; তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে বিবাহিত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে যে লিখিত বিধানটি সেটি শুধুমাত্র কাগজ কলমে ছিল। সেটা কখনোই প্রয়োগ করা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলেও বিবাহিত ছাত্রীরা থাকতে পারতেন না। এক বিবাহিত ছাত্রীর সিট বাতিলের পর বিষয়টি সামনে আসলে ঢাবিতেও এটি নিয়ে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় বিবাহিত ছাত্রীদের আবাসিক হলে না থাকতে পারার বিধানটি বাতিল করা হয়। পরে এটি সিন্ডিকেটে পাঠানো হবে, সেখানে পাস হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক সোলাইমান বলেন, মাভাবিপ্রবির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে এই লিখিত নিয়মটি রাখা না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেহেতু নীতিমালা পরিবর্তন রিজেন্ড বোর্ডের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে তাই আলোচনা করে সকলে চাইলে এই নিয়ম বাতিলও হতে পারে।
Discussion about this post