অনলাইন ডেস্ক
প্রবাসীদের কল্যাণ করা তাঁর সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বর্তমানে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন তার সমাধানে তাঁর সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। খবর বাসস।
মালদ্বীপে বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় তিনি বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি একটি সফল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। অনথিভুক্ত বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টি সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছে’।
এখানে অকস্ম্যাৎ এসে পড়ায় যারা এখনও বৈধতা পাননি সে বিষয়ে মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে তাঁর সরকারের সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সরাসরি মালদ্বীপের মুদ্রায় যাতে দেশে পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থাও তিনি নেবেন, যাতে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে না হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে এখানকার প্রবাসীরা যাতে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সে ব্যবস্থা তাঁর সরকার করে দেবে, উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানকার বিভিন্ন দ্বীপের অভিবাসীরা যাতে বির্বিঘে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে আমি বলবো এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাটা করে দেবে যাতে ডলার কিনে আবার বাংলাদেশে পাঠানোতে যে লোকসানটা হয়, সেটা বন্ধ হয়।
দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোদের জন্য তাঁর সরকার দুই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে টাকা আপনারা পাঠান তার থেকেও বেশি টাকা কিন্তু সরাসরি আপনার পরিবার পেয়ে থাকে।
মালদ্বীপের সঙ্গে কানেকটিভির উন্নয়নে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, ’৯৬ সালে সরকারের আসার পরই তাঁর সরকার বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেয় এবং বেসরকারি খাতে বিমান পরিচালনারও সুযোগ সৃষ্টি করে। যে কারণে আজকে একটি বেসরকারি খাতের বিমান মালদ্বীপে আসা শুরু করেছে। সরকারী বিমানে আমরা মালদ্বীপে যাতায়াতের একটা ব্যবস্থা করবো, সেলক্ষ্য আমাদের রয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযোগ জোরদারে সম্মত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমান ভারতের চেন্নাই হয়ে মালদ্বীপের সাথে বিমান যোগাযোগ চালু করার বিষয়ে গতকাল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ইস্কান্ধার স্কুল অডিটোরিয়ামে, মালে চাঁদনী মাগুতে সমবেত হন। প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপে তাঁর আবাসস্থল থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীরা আপনাদের (মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশী) সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর সরকার সমস্যার সমাধানে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
Discussion about this post