আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর ওপর আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজের সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্তের জেরে গত ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, এসওয়াতিনি, মোজাম্বিক ও মালাউইর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাইডেন প্রশাসন। এর ফলে আগের ১৪ দিনের মধ্যে এসব দেশে অবস্থান করা প্রায় সব বিদেশি নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কেভিন মুনোজ এক টুইটে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণ আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর আরোপ করা সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছেন। এ সিদ্ধান্ত ৩১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি। কেভিন বলেন, ওমিক্রনকে বুঝতে এবং এর বিরুদ্ধে বিদ্যমান টিকাগুলো কাজ করে তা জানার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সময় দিয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা।
রয়টার্স এর আগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। কারণ এই বিধিনিষেধ দেশটিতে করোনার সংক্রমণ কমাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখছে না। তাছাড়া, ওমিক্রন ঠেকাতে বিশেষ কোনো টিকার দরকার নেই, বিদ্যমান টিকাগুলোই এর বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে আত্মবিশ্বাসী তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর দেওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়নি এবং মার্কিন নাগরিকদের স্বদেশে ফেরাও আটকায়নি।
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফউসি বলেছিলেন, এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, আমাদের দেশে এমনিতেই অনেক সংক্রমণ ঘটছে। দক্ষিণ আফ্রিকান দেশগুলোর চেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ানো দেশগুলো থেকে আমরা মানুষজন ঢুকতে দিচ্ছি।
অবশ্য ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের করোনা পরীক্ষার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। উড়োজাহাজ ও বিমানবন্দরগুলোতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নেওয়া হয়েছে আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা।
Discussion about this post