নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে নাকি পুরো সিলেবাসে হবে সে বিষয়ে ভর্তি কমিটির বৈঠকে ঠিক করা হবে। যদিও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই অধ্যাদেশের ফলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করে না। তবে জাতীয় কল্যাণের কথা বিবেচনা করে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরামর্শ দিতে পারে। এই পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানবে কিনা সেটি তাদের সিদ্ধান্ত।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে মত দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাবতে শুরু করেছে। তবে এখনি এই বিষয়ে খোলাসা করতে চাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে অথবা পরে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তারা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় ঠিক হয় ভর্তি কমিটির সভায়। এখানে এককভাবে বলাটা সমীচীন হবে না। কেননা আমি একটি কথা বললাম পরে সেটি পরিবর্তন হয়ে গেল। এতে করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে। তাই এই বিষয়ে ভর্তি কমিটির সভার আগে কিছু বলা সম্ভব হবে না।
এদিকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, যেহেতু এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে হচ্ছে সেহেতু ভর্তি পরীক্ষাও এই সিলেবাসের আলোকে নেওয়া দরকার।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম ভবন) বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এখন যদি পুরো সিলেবাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় তাহলে তো যুক্তিযুক্ত হলো না। ন্যাযতার প্রশ্নতো সেখানে উঠেই যাবে। সে কারণে আমি ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি একটি ইতিবাচক সমাধান হবে।
Discussion about this post