নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে নানা সমালোচনার পর শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সেই ১৭ নির্দেশনা প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যাগিংয়ের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিধি নিষেধগুলো প্রচার করা হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু বিধিনিষেধ প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রশাসনের নজরে এসেছে। কিছু বিধিনিষেধ বিদ্যমান থাকলেও বাস্তবতার কারণে তার কার্যকারিতা ও প্রয়োগ নেই। ফলে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য প্রচারিত বিধিনিষেধ সম্পর্কিত পত্রটি প্রত্যাহার করা হল।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে বিধিবদ্ধ আইনের আলোকে ‘ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলা’ শিরোনামে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ১৭টি নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নির্দেশনার মধ্য ছিল- রাতের খাবারের পর পর ছাত্রদের আবাসিক হলে রোল কল করতে হবে। হলের বাইরে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা বা অন্যত্র শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে জরিমানা করা হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ, বিভাগীয় সমিতি ব্যতীত অন্য কোনো সংগঠন গঠন করা যাবে না। প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া কোনো মিটিং, পার্টি, অ্যাপায়ন, বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তাদের প্রক্টরিয়াল ক্ষমতা থাকবে। ছাত্রদের অভিভাবক কিংবা আত্মীয়-স্বজন তিনদিনের বেশি হলে থাকতে পারবে না।
এসব নির্দেশনা দেওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে তুমুল সমালোচনার ঝড়। এই দাবিগুলো প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানায় বিভিন্ন সংগঠন।
Discussion about this post