শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা বৃদ্ধিতে সবিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই পদক্ষেপ হিসেবে প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭৭ জন গবেষককে ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকা গবেষণা অনুদান প্রদান করা হলো। এর মধ্যে ২২ জন পিএইচডি, ৫ জন এমফিল এবং ৫০ জন মাস্টার্স প্রোগ্রামে গবেষণায় অনুদান পেয়েছেন।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব গবেষকদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই গবেষণা চেক বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় তিনি বলেন, গবেষণা ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। গবেষণা ছাড়া একটি দেশ ও জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো ভালো অবস্থানে এগিয়ে নিতে গবেষণা বৃদ্ধি জরুরি। তিনি বলেন, আমার একটি স্বপ্ন আছে, তাহলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। আপনারা শিক্ষকবৃন্দও নিশ্চয়ই সেই স্বপ্ন দেখেন। আমাদের এই যৌথ চিন্তা ও প্রয়াসে এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গবেষণার আগ্রহ থাকলেও অনেক সময় আর্থিক ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা এবং ভালো তত্ত্বাবধায়কের অভাবে অনেক সময় গবেষণা শেষ করা সম্ভব হয় না। আজ এই অনুদান প্রদান এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপাচার্য সকলকে গবেষণায় আগ্রহী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান এবং বলেন, গবেষণার ফলাফল সন্তোষজনক হলে আগামীতে গবেষণার অর্থ আরও বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে নিতে হবে। যার জন্য গবেষণার যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬২ জনকে ২ কোটি টাকারও বেশি অনুদান প্রদান করা হয়েছে। আজ ৭৭ জনকে অনুদান প্রদান করা হলো। ডিসিপ্লিনসমূহে যতো বেশি সম্ভব আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সেইভাবে কাজও এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা এমন একটি জায়গায় উপনীত করতে চাই, যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক অবস্থান সৃষ্টি করতে পারি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। সভাপতির বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠানে ডিনবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. এ আর এম মোস্তাফিজার রহমান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহ।
অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ও পিএইচডি গবেষক মোল্লা আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে ডিনবৃন্দ স্ব স্ব স্কুলের গবেষণা অনুদানপ্রাপ্তদের উপস্থাপন করেন। গবেষণা অনুদান প্রদান কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post