শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়টি বিবেচনা করবে ডিনস কমিটি। প্রশ্ন তৈরির সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সরকারের পরামর্শের কথা ভেবে দেখার কথাও জানিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে নাকি পুরো সিলেবাসে হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিল। তবে এর আগে বিষয়টি ঠিক হবে ডিনস কমিটির সভায়। ডিনস কমিটি প্রতিটি ফ্যাকাল্টির মতামত সংগ্রহ করবে। আর ফ্যাকাল্টিগুলো বিভাগগুলো থেকে এ বিষয়ে তাদের মত নেবে। এরপর সভায় বসবে ডিনস কমিটি। ডিনস কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটিই পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চূড়ান্ত হবে।
সূত্র জানায়, ঢাবিতে মোট ১৩টি অনুষদ রয়েছে। এই অনুষদগুলোর বেশ কয়েকজন ডিন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনই খোলাসা করে কিছু বলতে চাচ্ছেন না তারা। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে অথবা পরে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি অনুষদের ডিন বলেন, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যে পাঠ্যক্রম ছিল সে অনুযায়ীই ভর্তি পরীক্ষা নেয়া দরকার। করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে ক্লাস করতে পারেনি। সেজন্য সরকার এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের এই সিদ্ধান্ততে সাধুবাদ জানাই।
ঢাবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও মানবিক অনুষদের শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সমস্যা দেখছেন না ডিনবৃন্দ। তবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দোটানায় রয়েছেন তারা। কেননা এই অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় সব বিভাগের শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। ফলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন তারা।
এ বিষয়ে ঢাবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আব্দুস ছামাদ বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সবার মতামত নিতে হবে। তবে আমরা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সমস্যাটি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা সচরাচর প্রতিবার শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম দেখেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকি। এবারও শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম দেখেই প্রশ্ন করা হতে পারে। বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ডিনস কমিটির সভায়।
Discussion about this post