ফাহিমাতুন নুর আহমেদ মীম,ষষ্ঠ শ্রেণি
স্কুল অব সায়েন্স ,বিজনেস এন্ড হিউমেনিটিজ
একবার দুই কৃপনের খাঁটি ঘি খাবার খুব ইচ্ছা হয়।তাই দু’জন পরামর্শ করল কিভাবে খাঁটি ঘি সংগ্রহ করা যায়।ইতিমধ্যে তারা খবর পেল দূর গাঁয়ে জনৈক খাঁটি ঘি বিক্রেতার নিকট গেলে খাঁটি ঘি পাওয়া যাবে।খবর পেয়ে তারা উভয়েই ভীষণ আনন্দিত হলো। ঘি বিক্রেতার ঠিকানা সংগ্রহ করে সকাল সকাল তার বাড়ির দিকে রওনা হল।শেষমেশ অনেক পথ পেরিয়ে ঘি বিক্রেতার বাড়ি পৌঁছলো।তখন অনেক রাত।তারা বিক্রেতার ঘরে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে তুলে বলল ,ভাই!শুনলাম-আপনার নিকট খাঁটি ঘি আছে।তাই সেই দুর গাঁ থেকে বহু কষ্ট করে আপনার বাড়ি এসেছি।ঘি বিক্রেতা প্রথমে বিরক্ত হলেও পরে শান্ত হয়ে বলল,ঠিক্ শুনেছেন ।তা আপনাদের কত কেজি দরকার?তখন ঐ কৃপনেরা পকেটে হাত ঢুকিয়ে একখানা ছোট আতরের শিশি বের করে বললো,দিন এই শিশি দু’খানা ভরে ভরে দিন,কম দিবেন না যেন,একথা শুনে ঘি বিক্রেতার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলেও তাদের বিদায় করার জন্য শিশি ভরে ঘি দিয়ে দিল।বিনিময়ে কোন পয়সা না নিয়ে তাদেরকে ঘুম নষ্ট না করে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল।যা হোক কৃপনদ্বয় ঘি পেয়ে খুশীমনে বাড়ী ফিরল।দু’বছর পর তাদের দেখা হল তবে একজনের মন খুব খারাপ।তাই দেখে দ্বিতীয় জন বলল ,কি ব্যাপার মন খারাপ কেন?
প্রথমজনঃ আর বলো না,তোমার সাথে গিয়ে দূর গাঁ থেকে যে খাঁটি ঘি এনেছিলাম ,সেই খাঁটি ঘি আজ সকালে শেষ হয়ে গেছে তাই মনটা ভীষণ খারাপ হল।
দ্বিতীয়জনঃ বলো কি? আমারটাতো একটি চিকন শলা দিয়ে সামান্য ঘি নিয়ে খাবার খেতাম।
প্রথমজনঃ আশ্চর্য হয়ে বলল , সেটা কিভাবে ?
দ্বিতীয়জনঃ বিজ্ঞের মতো বলল, আমি খাবার খাওয়ার সময়ে ঘিয়ের শিশির ছিপি খুলে আমার থালা বরাবর বাঁকা করে রাখি।ফলে ঘিয়ের ঘ্রাণে আমার পুরো খাবার খাওয়া হয়ে যায়।তাই খাঁটি ঘি এতো বেশি করে খাবে না শেষে দেওলিয়া হয়ে যাবে।
Discussion about this post