শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আবাসিক সাতটি হল খুলে দেওয়া হয়।
হল খোলার পর সকালে কিছু শিক্ষার্থীকে উঠতে দেখা গেছে।
তবে হল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। হল খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকরাও বেশ খুশি।
কুয়েটের মুখপাত্র মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে হল খোলার পর কিছু শিক্ষার্থী হলে উঠেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসতে বিকেল হয়ে যাবে।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৯তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। তার মধ্যে ছাত্র শৃঙ্খলা বিধির ১২,১৩,১৪,১৬, ১৭,১৮ ধারাসমূহ ও আবাসিক হলের নিয়মাবলী দৃঢ়ভাবে মেনে চলতে হবে। ছাত্র শৃঙ্খলা বিধির ১২ ধারা অনুযায়ী পরিচালক ছাত্র কল্যাণের পূর্বানুমোদন ছাড়া শিক্ষার্থীদের যে কোনো প্রকার মিছিল সভা সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলো বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারসহ একাডেমিক এরিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বহির্ভূত যে কোনো প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার ইত্যাদি টানানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের নিয়মাবলীর ৩ (প) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ব্যাচ বা তার পূর্ববর্তী ব্যাচগুলোর আবাসিক হলে বসবাসরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সিন্ডিকেটের সভা শেষে ৭ জানুয়ারি হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ ডিসেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এদিন বিকেল ৪টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ পেয়ে ৭টি হলে থাকা শিক্ষার্থীরা হল ছাড়েন।
ওই শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই ছুটি দুই দফা বাড়িয়ে ৭ জানুয়ারি হল এবং ৯ জানুয়ারি ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও রিয়াজ খান নিলয়কে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি। এ ছাড়া আরও ৪০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীরা প্রায় সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
Discussion about this post