শিক্ষার আলো ডেস্ক
চলমান করোনা ভাইরাসের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা দিতে চান না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওমিক্রনের হার বেড়ে যাওয়ায় হল বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সড়ক অবরোধ করেনে বুটেক্সের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনের হার ঊর্ধ্বমুখী। ওমিক্রমের এই পরিস্থিতির মধ্যে আবাসিক হলে থাকা তাদের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যারা আবাসিক হলে থাকেন তাদের মধ্যে একজন আক্রান্ত হলে সবাই আক্রান্ত হবে। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে হলে থেকে পরীক্ষা দেয়া কিংবা ক্লাস করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো-
১)অবিলম্বে হলসমূহে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে হল বন্ধ করতে হবে।
২) অবিলম্বে অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহ সময় নিয়ে নতুন রুটিনে অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে পারে ,অথবা বর্তমান রুটিনের প্রথম ২ টি পরীক্ষা পিছিয়ে বাকি পরীক্ষা গুলো পূর্বের রুটিন অনুযায়ী নিতে পারে।
৩) করোনাকালীন সময়ে চলমান টার্ম পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে, অবশ্যই চলমান টার্মের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যেই আগামী টার্মের ক্লাস অনলাইনে শুরু করতে হবে এবং দিনপ্রতি অন্তত ৪টি এবং সর্বোচ্চ ৬টি ক্লাস নিতে হবে।
৪) করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার দরুণ যদি কোনো শিক্ষার্থী হলে আক্রান্ত বা সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে, তার এবং তার পরিবারের সার্বিক দ্বায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
৫) আমাদের উপরোক্ত দাবিগুলো আমলে নিয়ে আজকের মধ্যেই মৌখিক স্বীকৃতি এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রশাসনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভার্সিটি ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় আমরা স্বশরীরে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে যেকোনো শিক্ষাকার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবো।
Discussion about this post