নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনের জন্য ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পেয়েছেন বিভাগের ১২ জন মেধাবী শিক্ষার্থী।
রবিবার (৯ জানুয়ারি) অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— মিলি আক্তার, রিতু কর্মকার, জান্নাতুল ইসলাম রিয়া, তহুরা তাবাসসুম তরি, সুমাইয়া জাহিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, সাইদুল ইসলাম, তানহা তাসনিম ইতি, ফারহানা আক্তার, মোছা. নুসরাত জেবিন বিভা এবং সুমাইয়া আরেফিন অর্নি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রয়াত অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘তিনি আমাদের এই গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন অমায়িক শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সৎ, আদর্শবান ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। তিনি ছিলেন খুবই পরিমার্জিত, পরিশীলিত। তার আচরণেও তার বহিঃপ্রকাশ দেখা যেত। আমরা তাকে দেখেছি— একজন চির বাঙালি ছিলেন তিনি৷ তার আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।’
উপাচার্য বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’ কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পেতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বলেন, ‘সিতারা পারভীন আমার ছাত্রী ছিলেন। তিনি অত্যন্ত মনোযোগী ও আদর্শ শিক্ষার্থী ছিলেন। সিতারা পারভীন তার কাজ ও গবেষণা আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। গবেষণায় ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। আমরা তার কাজ ও তার জীবনের নানা কাজকে ধারণ করে এগিয়ে যাবো।’
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, ‘সিতারা পারভীনকে আমি আমার ছাত্র অবস্থায় পেয়েছি। তিনি অনার্স ও মাস্টার্সে আমাদের দুটি কোর্স পড়াতেন। তিনি চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন। তিনি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীর পাশে থেকে আমাদের সবসময় আগলে রাখতেন। আমরা উনার স্মৃতি ধারণ করি এবং স্মৃতিকে সমুন্নত রেখে আমাদের পথচলাকে মসৃণ করবো।’
উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের মেয়ে এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
Discussion about this post