নিজস্ব প্রতিবেদক
ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসে পাঠদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া এ বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে কভিডসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সঙ্গে বসবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতি সপ্তাহের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে, গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সভা শুরু হয়। ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সভা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের প্রতি জোর দেওয়া হবে। যারা টিকা নিয়েছে তারা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হবে। যারা এখনো টিকা নিতে পারেনি তারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হবে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত তাদেরও ক্লাস চলমান থাকবে।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, বৈঠকে সব তথ্য-উপাত্ত ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত যেভাবে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে, সেভাবেই চলবে। তবে খুব ঘন ঘন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Discussion about this post