খেলাধূলা ডেস্ক
প্রথম ইনিংসের উল্টো ঘটনা দেখালো বাংলাদেশ দল। ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে কিউইদের এক ইনিংসে করা রানই দুই ইনিংস মিলিয়ে টপকাতে পারলো টাইগাররা। ৩ দিনেই সমাপ্তি ঘটলো বাংলাদেশে-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাসগড়া ম্যাচে জয়ের জন্য পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিলো বাংলাদেশক। তবে ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালে তিন দিনের মধ্যেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৮ রানে অলআউট হয়ে এক ইনিংস ও ১১৭ রানের ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়েই মূলত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল খেলার ফল। মাত্র ১২৬ রানেই অলআউট হওয়ার পর ইনিংস পরাজয় এড়াতেই করতে হতো আরও ৩৯৫ রান। কিন্তু লিটন দাস ব্যতীত আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ইনিংস ব্যবধানে হেরেই শেষ হলো বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর।
আগের দিন ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামে। ৪৮ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অবশ্য এদিন খেলেছিলেন বেশ দারুণ। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল ছাড়ছিলেন তিনি। কিন্তু এক ভুলের মাসুল দিতে হয় তাকে। একটুখানী খোঁচা দিয়ে আউট হন সাউথির বলে। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন টম ল্যাথাম। ৯৮ বলে ২৪ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন নাঈম।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকও আশা দেখিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৬ বলে ২৯ রান করে শান্ত ও ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন মুমিনুল আউট হন। মাঝে আশার আলো হয়ে থাকেন লিটন দাস। দারুণ সব শট খেলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গও দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।
কিন্তু হুট করে সোহান আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হন। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে তিনি ড্যারেল মিচেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন নেইল ওয়েগনারের হাতে। তবে দমে যাননি লিটন দাস। একের পর এক লিটনের ব্যাট থেকে দারুণ শট দেখা গেছে। এক প্রান্তে দাড়িয়ে যোদ্ধার মতো লড়ে গেছেন তিনি।
ওয়ান্ডে মেজাজে নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করে নেন তিনি। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন তিনি। তার আউটের সঙ্গে দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশও। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এবাদতের উইকেট নিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন রস টেইলর।
Discussion about this post