শিক্ষার আলো ডেস্ক
এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটসহ একাধিক সংগঠনের নেতারা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় লাগাতার কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১জানুয়ারি) বিকেলে জোটের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষিধের কারণে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিধিনিষেধ রয়েছে। আমাদের অবস্থান কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এসেছেন। সবার কথা বিবেচনা করে আমরা কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করলেও বাতিল করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেকোনো সময় আমরা আবার শুরু করব।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন ও একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য রয়েছে।
তারা বলেন, অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র এক টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও একজন শিক্ষক ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। এই বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ জরুরি।
Discussion about this post