শিক্ষার আলো ডেস্ক
সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণসহ চার দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো-
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ সব চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে, নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে, একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মুমিন বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই আত্মহত্যা করছে বেকারত্ব, পরিবারের চাপ ও আর্থিক কষ্ট নিয়ে। পড়াশোনা শেষে সবারই স্বপ্ন থাকে একটা ভালো চাকরি পাওয়া। কিন্তু কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির মাধ্যমে যদি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়ে যায় তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবো? তাছাড়া ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া তো অনৈতিক ও সংবিধান বিরোধী কাজ। আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের এসব দাবি ও যুক্তিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করতে চাই। আমাদের একটা দাবি ছিল, চাকরিতে আবেদন ফি কমানো। আমরা শিক্ষার্থী। থাকা খাওয়ায় আমাদের এমনিতেই অনেক টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে এক একটা আবেদন ফি দুই, তিন হাজার টাকা হলে আমরা কীভাবে ফর্মগুলো পূরণ করবো? তাই চাকরির আবেদন ফি ১০০ টাকার মধ্যে নিয়ে আসার জোর দাবি জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের আশপাশের প্রায় ৪০টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪০ বছর বা তারও ঊর্ধ্বে আছে। অথচ বাংলাদেশে এ নীতি কখনো অনুসরণ করা হয় না। স্বজনপ্রীতি থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র ফাঁস, এগুলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অনেকে ভালো পড়াশোনা করেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না। এছাড়া একই সময়ে একাধিক পরীক্ষার যে সংস্কৃতি, সেটা বন্ধ করা হোক। এমনিতেই চাকরির বয়সসীমা কম। তার ওপর যদি একই দিনে একাধিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমরা অনেক পরীক্ষাতেই অংশ নিতে পারি না। করোনার পর গত বছর মে মাসে এক প্রার্থীর একই দিনে ১০টি পরীক্ষা ছিল। ১০টি পরীক্ষার জন্য ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করলেও সে পরীক্ষা দিতে পেরেছে একটিতে। এটি কখনো হতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে চাকরির পরীক্ষা নিতে হবে।
মানববন্ধনে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় রাজশাহী বিভাগের অর্ধশতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post