শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২য়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত করেছেন ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিষয়টি জানিয়েছেন আন্দোলনের আহ্বায়ক মহিদুল ইসলাম দাউদ।
এর আগে আজ সকাল ১০টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে করা সমাবেশে বাধা দেয় প্রক্টরিয়াল টিম। এসময় আন্দোলনকারীদের ব্যানার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন তারা। এরপর রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেন তারা।প্রায় ৩০ মিনিট সেখানে (প্রশাসনিক ভবন) অবস্থান নেওয়ার পর সহকারী প্রক্টরদের সহযোগিতায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দুইজন উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখান থেকে বের হয়ে তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আন্দোলনের আহ্বায়ক মহিদুল ইসলাম দাউদ বলেন, উপাচার্য স্যার আমাদের কথা শুনেছেন, আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। স্যার বলেছেন পরবর্তী সিন্ডিকেটে বিষয়টি কেউ উত্থাপন করলে এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার পর যে সিদ্ধান্ত হবে সেটি সংবাদ সম্মেলন কিংবা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আপাতত আমাদের কর্মসূচি শেষ করছি। কিন্তু সিন্ডিকেটে যদি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে আমরা আবারো আন্দোলনে নামব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সমাবেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব। আমরা নিজেরা যেন কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করি।
আন্দালনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কর্তন করার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে। এছাড়া যারা প্রথমবারেই চান্স পেয়ে ভর্তি আছে, তারা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন শর্ত দিয়েও ঢাবিতে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
Discussion about this post