অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত চেঙ্গী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে নানিয়ারচর চেঙ্গী সেতু প্রান্তে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সেতুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সেতুটি।
রাঙামাটি-নানিয়ারচর সড়কে চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মিত ‘চেঙ্গী সেতু’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, কক্সবাজার ১ আসনের এমপি সাইমুম সোরোয়ার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সাইফুর রহমান এনডিসি এফ ডব্লিউসি, মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন, এনডিসি, জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন চট্টগ্রাম, বিএ-৩৪৮১ মে. জে. মোহাম্মদ ফখরুল আহসান, বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন রামু কক্সবাজার, বিএ-৪৭৭৬ ব্রি. জে. মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন এনডিসি, পিএসসি, ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা, বিএ- ৪৯০১ ব্রি. জে. মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনট্রাকশন ইস্ট ব্রিগেড কমান্ডার চট্টগ্রাম, বিএ-৫৫০৯ কর্ণেল খন্দকার তারিকুল ইসলাম এফ ডাব্লিউ সি, পিএসসি, কর্নেল জিএস, ডিজিএফআই রাঙামাটি, ডেড কমান্ডার, বিএ-৫১৬৩ কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এস ইউপি, এ এফ ডাব্লিউ সি, পিএসসি, এডিজি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ইস্ট ব্রিগেড কমান্ডার চট্টগ্রাম, বিএ ৬৫০০ লে. কর্নেল মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন দিদার পিএসসি, অধিনায়ক ২০ ইসিবি ডবলমুড়ি চট্টগ্রাম, নানিয়ারচর আর্মি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সিও) রুবাইয়াত হুসাইন পি এস সি, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ অনেকে।
সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটেলিয়ান (ইসিবি) ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরের চেঙ্গী নদীর ওপর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২ মিটার প্রস্থের এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
দীর্ঘদিন একটি সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো কয়েক লাখ মানুষকে। সেতুটি চালু হওয়ায় দীর্ঘদিনের যোগাযোগে ভোগান্তি কমলো। সেতু উন্মুক্ত হওয়ায় পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। এ সেতুটি নির্মিত হওয়ায় রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে নানিয়ারচর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, সাজেক এবং খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে উঠবে।
Discussion about this post