শিক্ষার আলো ডেস্ক
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ৩০ ডিসেম্বর। এর তিনদিন পর ২ জানুয়ারি এইচএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ১৮৯টি উত্তরপত্রের দুটি প্যাকেট হারিয়ে যায়।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নিয়ে যাওয়ার পথে প্যাকেটগুলো রাস্তায় পড়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়া প্যাকেটের মধ্যে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান প্রথমপত্রের ৯৬টি এবং একই বিষয়ের দ্বিতীয়পত্রের ৯৩টি উত্তরপত্র রয়েছে।
সূত্র জানায়, এইচএসসি পরীক্ষা শেষে গত ২ জানুয়ারি স্থানীয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে উত্তরপত্রের সিলগালা করা দুটি প্যাকেট সাদা একটি কাপড়ের ব্যাগে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রওনা দেন একাডেমিক সহকারী নুরুল ইসলাম। পোস্ট অফিসে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে দুটি প্যাকেট পড়ে যায়। পরে আর সেগুলো খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি এই ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঘটনার দিনই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান এবং একাডেমিক প্রধান হিসেবে কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (ড্রেসমেকিং অ্যান্ড টেইলারিং) মো. তৌহিদুর রহমান খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের সই করা অফিস আদেশ জারি করা হয় এবং এই ঘটনায় বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
হারিয়ে যাওয়া উত্তরপত্রের পরীক্ষার্থীদের ফলাফলের বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুর রহমান বলেন, আমরা এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা চেয়েছি। যখন নির্দেশনা আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে অন্য একটি গণমাধ্যমে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (গোপনীয়) মো. ইয়াছিন জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের কনসিডার করা হবে। আগের পরীক্ষাগুলো যাচাই করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে তাদের নম্বর দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
Discussion about this post