শিক্ষার আলো ডেস্ক
সাম্প্রতি চীনের হংকং প্রদেশের চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা গেছে, জোড়া মাস্ক করোনা নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবেলায় ব্যাপকভাবে কার্যকর। তবে দু’টি মাস্কের একটি সার্জিক্যাল ও অন্যটি কাপড়ের মাস্ক হতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ডেভিড হুই ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুটি সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে দুই মাস্কের মধ্যে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকে। সাধরণভাবে এটি একেবারেই চোখে পড়ার মতো নয়, কিন্তু ওমিক্রনের মতো উচ্চমাত্রার সংক্রামক ভাইরাসের বিস্তারের জন্য এই ফাঁকা স্থান যথেষ্ট।
তিনি আরও জানান, কিন্তু সার্জিক্যাল মাস্কের ওপরে যদি কাপড়ের মাস্ক পরা হয়, তাহলে মাঝখানে কোনো ফাঁকা স্থান থাকে না। এ কারণে সার্জিক্যাল মাস্কের ওপর কাপড়ের মাস্ক ওমক্রিনের সংক্রমণ থেকে ব্যাপকভাবে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
দেশটির একজন জীবাণুবিদ ইউয়েন কয়োক ইউংও স্থানীয় বেতারমাধ্যমকে জানান, ‘যারা দীর্ঘস্থায়ী অসুখ বা স্বাস্থ্যগত কারণে করোনা টিকা নিতে পারছেন না, কিংবা পেশাগত কারণে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন- তারা জোড়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সংক্রমণ ঠেকাতে এটি বেশ কার্যকর।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে উচ্চমানের এন নাইন্টিফাইভ মাস্ক সাধারণ মাস্কের তুলনায় ওমিক্রন থেকে অধিক সুরক্ষা দিতে পারে।
সাক্ষাৎকারে ইউয়েন কয়োক ইউন এন নাইন্টিফাইভ মাস্ক প্রসঙ্গে বলেন, আমি মনে করি- এন নাইন্টিফাইভ মাস্ক গণহারে ব্যবহারের উপযোগী নয়। কারণ, প্রথমত- এই মাস্কটি বেশ দামী এবং দ্বিতীয়ত- অনেকেই এই মাস্কটি পরলে নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা বোধ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। শনাক্ত হওয়ার অল্পদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পেয়ে যায় ভাইরাসটি। বিশেষজ্ঞদের মতে মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ গুণ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যে এই ভাইরাসটিকে করোনার ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
Discussion about this post