নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার রূপকল্প ২০৪১ এর মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় দেশের ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি (এনরোলমেন্ট) নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
ইইউ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট বাড়ানোর মহাপরিকল্পনা করায় সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করেন ইইউ প্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধিদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা নেওয়ার আগে ২০০৯ সালে কারিগরিতে এনরোলমেন্ট ছিল ১ শতাংশ। ক্ষমতায় আসার পর ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ নিশ্চিত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। তখন এটা অনেকেই উচ্চাভিলাসী মনে করেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে এনরোলমেন্ট হয়েছে ১৭ শতাংশের বেশি। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে কারিগরিতে ৫০ শতাংশ এনরোলমেন্ট করতে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। অনেকে মনে করেন কারিগরিতে কম মেধাবীরা পড়াশোনা করে। তাই মাইন্ডসেট পরিবর্তন ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১৬টি শতবর্ষী অনার্স কলেজ রয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে দেড়শো বছরেরও পুরনো। এসব প্রতিষ্ঠানে অনার্স-মাস্টার্স চালু রেখে অন্য কলেজগুলোতে ডিগ্রি কোর্স করানো হবে। পাশাপাশি পড়ানো হবে কারিগরি ট্রেড। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অনেকে মনে করছেন শিক্ষকদের চাকরি থাকবে না। আসলে তা নয়, কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ট্রেড কোর্স পড়ানো হবে। শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি কলেজগুলোতে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমাও করতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে জানান, নতুন জাতীয় কারিকুলাম করা হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে ’২৫ সাল পর্যন্ত (মাধ্যমিক) কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে।
Discussion about this post