শিক্ষার আলো ডেস্ক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এপার বাংলা নাটকের অন্যতম প্রাণপুরুষ অধ্যাপক ড. সেলিম আল দীনের ১৪তম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) স্মরণযাত্রা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে দশটায় অমর একুশ ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি স্মরণযাত্রা সেলিম আল দীনের সমাধিস্থলে গিয়ে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, সেলিম আল দীনের আত্মীয়-স্বজন প্রমুখ স্মরণযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়া প্রয়াণদিবস উপলক্ষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে সেমিনার, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও নাটক প্রদর্শনের আয়োজন করে।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আলমগীর কবীর এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক হারুন স্মরণযাত্রা ও অর রশীদ খান, সোমা মুমতাজ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক জেবউননেছা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম আল দীনের সমাধিতে আরও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন- বাংলাদেশ গ্রামথিয়েটার, ঢাকা থিয়েটার, সেলিম আল দীন ফাউন্ডেশন, তালুকনগর থিয়েটার, স্বপ্নদল ঢাকা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, বাংলাদেশ পুতুল নাট্য গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, নাটক সংসদ, ভোর হোল, শহীদ টিটু থিয়েটারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর সেলিম আল দীনের সমাধি চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় মনন ও বিশ্বইতিহাস-ঐতিহ্যের সন্ধানে সেলিম আল দীনের নাট্যচর্চা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। বাংলাদেশের একমাত্র নাট্যকোষেরও তিনি প্রণেতা। আদিবাসী জনগোষ্ঠির জীবণাচরণকেন্দ্রীক ‘নিউ এথনিক থিয়েটারেরও উদ্ভাবক তিনি।
Discussion about this post