নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন শিক্ষকের পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে তা হবে তিনটি শর্তে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন কার্যক্রম চলমান অবস্থায় নিম্নোক্ত শর্তে তাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের অনুমতি প্রদান করা হলো।
শর্তগুলো হলো-
* নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষকের ব্যাপারে সসংশ্লিষ্ট এজেন্সি কর্তৃক ভেরিফিকেশনে কোনো বিরূপ মন্তব্য/আপত্তি উত্থাপিত হলে অবিলম্বে উক্ত সুপারিশপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হবে।
*প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
*বিরূপ মন্তব্যসম্পন্ন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ও প্রার্থীকে জানাতে হবে।
তথ্যমতে, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালের জুলাইয়ে। এরপর মৌখিক পরীক্ষা হয় ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয় গত বছরের ১৫ জানুয়ারি।
২০২১ সালের ৩০ মার্চ ৫৪ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য ২ হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়। আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তবে ৬ হাজার ৩ জন প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশনের ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।
ইতোপূর্বে এই কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন প্রার্থীরা। অনেকে পূর্বের চাকরি ছেড়ে দিয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। মানবিক কারণে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা।
Discussion about this post