খেলাধূলা ডেস্ক
গত বছরটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। গেল বছর দারুণ বোলিংয়ে ঘোল খাইয়েছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। তারই স্বীকৃতি মিলল আইসিসিতে। এবার আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে জায়গা হয়েছে মুস্তাফিজের। এ তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি তিনিই।
দারুণ বৈচিত্র্য আর গতির হেরফেরে গেল বছর টি-টোয়েন্টি আঙিনায় দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন মুস্তাফিজ। ইনিংসের শুরু ও শেষের দিকের আগুনে বোলিংয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন ২৮ উইকেট। ২০ ম্যাচে ১৭.৩৯ গড়ে উইকেট নেন তিনি।
তার দুর্বোধ্য বোলিং ব্যাটারদের ভুগিয়েছে বেশ। এর প্রমাণ মিলছে তার ইকোনমি রেটে। কিপটে বোলিংয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৭ রান।
এমন নৈপুণ্যের কারণেই তিনি জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে। তবে তিনি ছাড়া বাংলাদেশের আর কেউ অবশ্য এই তালিকায় স্থান পাননি।
বাংলাদেশি অন্য খেলোয়াড়রা অবশ্য ভারত থেকে সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন। ভারতীয় দল থেকে একজন ক্রিকেটারেরও জায়গা হয়নি এই তালিকায়!
চমকের শেষ এখানেই নয়। তালিকায় আরেক চমক হিসেবে এসেছে গেল বছর বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়ের সংখ্যা। গত বছর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা জিতলেও আইসিসির বর্ষসেরা দলে আছেন কেবল দুই অজি ক্রিকেটার। তারা হলেন- মিচেল মার্শ ও জশ হেইজেলউড।
চমক আছে আরও! গেল বছর বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার তিন জন খেলোয়াড় আছেন এখানে। সেই তিনজন হলেন- এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার ও তাবরাইজ শামসি। এছাড়া আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে আছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার জস বাটলার ও লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড দল থেকে একজনও জায়গা পাননি আাইসিসি বর্ষসেরার এই তালিকায়।
এক নজরে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বর্ষসেরা একাদশ
জস বাটলার, মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, এইডেন মার্করাম, মিচেল মার্শ, ডেভিড মিলার, তাবরাইজ শামসি, জশ হেইজেলউড, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মুস্তাফিজুর রহমান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
Discussion about this post