অনলাইন ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত থাকা আলোচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘টিম খোরশেদ’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
করোনায় মৃতদের দাফন, সৎকার, অক্সিজেন ও প্লাজমা সরবরাহ, অ্যাম্বুলেন্স, টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান ও খাদ্য সরবরাহসহ সার্বিক সেবামূলক কাজের জন্য ‘এশিয়া বুক অব রেকর্ড’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে টিম খোরশেদ।
এ টিমের প্রধান সমন্বয়ক ও টিম লিডার হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টানা তৃতীয়বার বিজয়ী কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন টিম খোরশেদের প্রধান সমন্বয়ক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নিজেই।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ভারতের হায়দরাবাদে এশিয়া বুক অব রেকর্ডের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো সনদপত্র, ম্যাডেল ও স্যুভেনির আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমে টিম খোরশেদের কাছে পাঠানো হয়।
মহামারি করোনা সংক্রমণ শুরুর পর বিভিন্ন মানবসেবামূলক কাজ করে আলোচনায় আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন ও সৎকারে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন তিনি। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠন হয় ‘টিম খোরশেদ’। মানুষের ঘরে ঘরে খাবার, অক্সিজেন, প্লাজমা সরবরাহ থেকে শুরু করে গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করাসহ আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজের ঘরে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেন তারা। নিজেদের জীবন বাজি রেখে এই ঝুকিপূর্ণ সেবা প্রদান করে ‘করোনাবীর; উপাধিও পান কাউন্সিলর খোরশেদ।
মহামারি করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা উল্লাখ করে খোরশেদ বলেন, সংক্রমণ বাড়ছে। তবে আমরাও মানুষকে সব ধরনের সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। এই পিরিস্থতি মোকাবিলায় আমাদের টিমের প্রতিটি সদস্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
নিজের স্বচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের এই অর্জন ও প্রাপ্তিকে উৎসর্গ করে টিম খোরশেদের প্রধান সমন্বয়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আরো বলেন, এই স্বীকৃতি আল্লাহর দান এবং আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের ত্যাগের ফসল। আমরা শপথ করেছিলাম করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিম খোরশেদ সক্রিয় থাকবে। সেই শপথ পালনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, দেশে করোনা সমক্রমণের শুরু থেকে আমরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। এখন পর্যন্ত আছি। করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কাজ চলবে।
Discussion about this post