আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনার বিস্তাররোধে সরকারি নীতিমালা এবং বাধ্যতামূলক টিকাগ্রহণের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছেন হাজার-হাজার মানুষ। তাদের অভিযোগ, কোভিড বা ভ্যাকসিন পাস বহন নাগরিক অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে, সমাজে বিভাজন এবং জাতিবিদ্বেষ বাড়াচ্ছে দেশগুলোর সরকার।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকেই ফ্রান্সে কার্যকর হচ্ছে ‘ভ্যাকসিন পাস’। যার ফলে, ১৬ বছরের ওপরের যেকোনো ফরাসি রেস্তোরাঁ, জিম, সিনেমা হল, সুইমিং পুলে ঢোকার সময় বাধ্যতামূলক দেখাতে হবে এই কার্ড। নতুবা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
এরই প্রতিবাদে, শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানী প্যারিস’সহ বড় শহরগুলোয় বিক্ষোভে নামেন হাজার-হাজার মানুষ। তাদের অভিযোগ, সরকারের এই বিধিমালা সমাজে বিভাজনের বিষ ছড়াচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, অধিকার রক্ষায় ফরাসিদের জোটবদ্ধ হওয়া উচিৎ। সরকার ভ্যাকসিন পাসের মাধ্যমে সমাজে যে জাতিবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে- তা খুবই লজ্জাষ্কর। দাসে পরিণত হচ্ছি সবাই। সেটা মানা অসম্ভব। ব্যক্তিগতভাবে আমরা টিকাদান কর্মসূচির বিরোধী নই। তবে অনেকেই ভুয়া ভ্যাকসিন পাস দেখিয়ে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। অথচ কেউ ৩টি ডোজ গ্রহণ করেও বঞ্চিত। এর ন্যায়বিচার চাই।
ইউরোপের অপর দেশ স্পেনও একই ক্ষোভে ফুঁসছে। দাবি, করোনা বিধিমালা শিথিল না করা হলে; অবাধ্যতা প্রদর্শন করবেন স্প্যানিশরা। দেশটির ৮০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এলেও ওমিক্রনের প্রভাবে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। একইদিন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরাই নেমেছেন টিকাবিরোধী আন্দোলনে। তাদের বক্তব্য, বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন না নিলে চাকরিচ্যুত করার প্রবণতা স্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
লন্ডন চিকিৎসক ও বিক্ষোভকারী হিলারি অ্যালেন বলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগ জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের কর্মী। তাদের জন্য, ২০২০ সালের মার্চে হাততালি দিয়েছে গোটা ব্রিটেন। অথচ ভ্যাকসিন গ্রহণ না করলে এখন তাদেরই চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। টিকা জোরাজুরির ব্যাপার নয় বরং একান্তই ব্যক্তিগত অধিকার।
Discussion about this post