শিক্ষার আলো ডেস্ক
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবার মানব প্রাচীর তৈরী করেছে।মানব দেয়াল দিয়ে উপাচার্য ভবন এক রকম ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।এতদিন উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাওয়া-আসার সুযোগ থাকলেও আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে সেই সুযোগ আর থাকলো না। কার্যত: উপাচার্যের বাসভবনে পুলিশ ছাড়া যে কারো আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের মুখে গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত থেকে এক প্রকার অবরুদ্ধ অবস্থায় ক্যাম্পাসের নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি নিজে গত রোববার সন্ধ্যা থেকে আর বাসা থেকে বেরোননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্যের সঙ্গে বাসায় তাঁর স্ত্রী আছেন। বাবুর্চিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী আছেন। এ ছাড়া বাসভবনের আশপাশে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা, আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রশমিত করতে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য তাঁদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।
আজ বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে মানব দেয়াল তৈরি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এখানে মানব দেয়াল তৈরি করেছি। এখানও আমরা কোনোরকম সহিংসতায় জড়াবো না। এখন থেকে উপাচার্যের বাস ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারবে না, আর ভেতর থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
এর আগে, চলমান সংকট নিরসনে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে শিক্ষামন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে শাবিপ্রবির কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আলোচনায় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের অংশ নেয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনরত সহপাঠীদের রেখে প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসতে রাজি না হওয়ায় তা ভেস্তে যায়।
তবে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী আবারও প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এদিন মধ্যরাতে অনলাইনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীরা।
তবে এ আলোচনায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা জানায়, তারা তাদের একদফা দাবিতে অনড় আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসির বাসভবনের সামনে রোববারও পঞ্চম দিনের মতো চলছে কর্মসূচি। এদিন অনশনস্থলে আছেন ১২ জন শিক্ষার্থী। ১৫ জন ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে উপাচার্য বা ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে অনড় বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ধ্যা ছয়টায় অনশনের ১০০ ঘন্টা উপলক্ষ্যে ক্যম্পাসে প্রতিবাদী মশাল মিছিল করার কথা জানিয়েছে তারা।
Discussion about this post