আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে কার্বন-ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে বিশ্বজুড়ে শিল্পায়নের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালানি শক্তি ব্যবহারের কৌশল বদলাতে শুরু করেছে।তাই জাহাজ শিল্পও এর বাইরে নয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের শিপিং এজেন্সি জাহাজ শিল্পে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের বেশি সালফারের উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। একই বছরের মার্চ মাসে জাহাজে অসঙ্গতিপূর্ণ জ্বালানি তেল বহনও নিষিদ্ধ করা হয়।
ফলে কার্বন নিঃসরণ ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কমাতে জাহাজ শিল্প খাতে একটি মধ্য-মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সেই লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে, সামুদ্রিক জ্বালানি শক্তি ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করা।
এক্সপ্লোমারের প্রতিষ্ঠাতা ডং জিয়াং বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রযুক্তির প্রবর্তন এবং একীভূত করার মাধ্যমে, আমরা গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে পাওয়ার সিস্টেম তৈরি করতে পারি। একইসঙ্গে জাহাজ শিল্পে কার্বন নিঃসরণ কমানোর রোড ম্যাপও আমাদের বোঝার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
এক্সপ্লোমারের প্রথম প্রজন্মের হাইড্রোজেন-ভিত্তিক সামুদ্রিক জ্বালানি শক্তি সিস্টেমে একশ থেকে এক হাজার কিলোওয়াট এনার্জি উৎপাদন প্রয়োজন। সিস্টেমটি জ্বালানি তেল-ভিত্তিক পাওয়ার সিস্টেমের ক্রমবর্ধমান খরচ এবং উচ্চ পরিবেশগত প্রভাবের মতো সমস্যার সমাধান করতে পারে। হাইড্রোজেন জ্বালানি, যা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে না, শক্তির একটি নিরাপদ এবং দক্ষ রূপ হিসেবে দেখা হয় এটিকে। বলা চলে, হাইড্রোজেন জ্বালানি নবায়নযোগ্য ও সম্ভাবনাময় বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থা। এটি পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী।
চীনে, এক্সপ্লোমারের লক্ষ্য সরকারের কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যের অধীনে গণপরিবহনের কাজে ব্যবহৃত জাহাজ এবং অন্যান্য পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সহায়তা করা।
যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও চীনে জ্বালানি শক্তির ব্যবহার ও পরিবহন ব্যবস্থাপনাকে সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি। জানা গেছে, নতুন নতুন আস্থা সম্পন্ন প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ বান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য।
সূত্র: নিক্কেই এশিয়া
Discussion about this post