নিজস্ব প্রতিবেদক
‘শিক্ষা আইন’ চূড়ান্ত করার কাজ প্রায় শেষ দিকে আর শিগগিরই এই আইন সংসদে উঠবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনের বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) সভাকক্ষে `পরিবর্তনশীল গতিপথ, রূপান্তরিত শিক্ষা` শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য আমরা নতুন যে কারিকুলাম তৈরি করেছি, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে বাস্তবায়নে যাওয়ার কথা। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ আছে, আমরা ভাবছি অনলাইনে হলেও এটা শুরু করব। পরে যখন সরাসরি পাঠদান শুরু হবে। তখন শ্রেণিকক্ষেই সেটি বাস্তবায়িত হবে। আমাদের শিক্ষাকে রূপান্তরিত করতে হবে। কারণ বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের সমস্ত গতিপথ সারাক্ষণ পরিবর্তিত হচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করছি। জাতীয় উন্নয়নে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার প্রতিটি পর্যায় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি নির্ভর শিক্ষা কাঠামো তৈরি করছি। আমরা চেষ্টা করছি যেন মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে কেউ বাদ না যায়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে শুরু করে দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছি। সবাই মিলে চেষ্টা করলে নিশ্চয়তা বাস্তবায়ন সম্ভব।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইউনেস্কো আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় আমরা খুবই কঠিন সময় পার করছি। শিক্ষা পরিবার মনে হয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চরম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। আমরা সকলেই এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছি। সবার সমন্বিত চেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব ও বিএনসিইউয়ের মহাসচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি মিজ বিয়াট্রিস কালদুন এবং বিএনসিইউয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি সোহেল ইমাম খান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন।
Discussion about this post