অনলাইন ডেস্ক
স্বাভবিক ভাবেই অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয় ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি। আর এই সমস্যায় ব্যতিক্রম নয় শিশুরাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে ১৯৭৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে শিশুদের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮ শতাংশের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। এর ফলে যে শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন অবাঞ্ছিত চাপ তৈরি করতে পারে শিশুমনেও।
কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণই অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনবৃদ্ধির মূল কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেককেই হতে হয় বৈষম্য ও গঞ্জনার শিকার। চারপাশ থেকে ছুটে আসে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্য। এই ধরনের ব্যবহার শিশুমনে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দেখা দেয় হীনমন্যতা, অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে অনীহা, একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদে ভোগে এসব শিশু। কাজেই সন্তানকে এই ধরনের সমস্যা থেকে বার করে আনতে কার্যকর ভূমিকা নিতেই হবে অভিভাবকদের।
অতিরিক্ত মিষ্টি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার না খাওয়া আর নিয়মিত শরীরচর্চা করলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝরে যায় অতিরিক্ত মেদ। তবে শিশুদের এ সব ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করা বেশ কঠিন। পাশাপাশি, বাড়ির বাইরের খেলাধুলার পরিমাণও কমে গিয়েছে অনেকটাই। কাজেই অভিভাবকদের বাড়তি দায়িত্ব নেয়া ছাড়া উপায় নেই।
Discussion about this post