শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) লালন শাহ হলের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও সাজা হয় ৪৪ শিক্ষার্থীর। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফার্স্ট সেমিস্টারের (পর্ব) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যা চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক পরিচালক ইসমাঈল সাইফুল্যাহ বহিষ্কৃত ও সাজাপ্রাপ্তদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষায় অংশ নিতে সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উচ্চ আদালতে রিট করেন। তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। শাস্তি পাওয়া যন্ত্রকৌশল বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ অনেকেই বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৭ জানুয়ারি ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারাদেশসহ সব ধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ১ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের শুনানি শেষে তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাজা পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের কাছে চিঠি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনার চিঠি মোতাবেক বাস্তবায়ন করেছি। আইনি অন্য কোনো বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
Discussion about this post