শিক্ষার আলো ডেস্ক
দেশে প্রথমবারের মতো জেএসসি ভোকেশনাল স্তর চালু হয়েছে। সারাদেশে ১৩৪ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৪ হাজার আসনে ৪৭ হাজার ৪৫৯ জন ভর্তি হয়েছে। সে হিসাবে মোট আসনের প্রায় অর্ধেক খালি থাকছে বলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে।
অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছর থেকে কারিগরি ভোকেশনাল বা কারিগরি স্কুল চালু করতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ২৫টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ জেএসসি ভোকেশনাল শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু করে। এ শিক্ষাক্রমে সাধারণ শিক্ষাধারার বিষয়গুলোর সঙ্গে ‘কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা’ নামের একটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২২ শিক্ষাবছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
কারিগরি প্রি-ভোকেশনালে ভর্তিতে গত বছরের ডিসেম্বরে আবেদন শুরু হয়। গত জানুয়ারির মাঝামাঝি ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়। এতে সারাদেশের ১৩৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৮৪ হাজার ২৪০টি আসন তৈরি করা হয়। তার মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৬ হাজার ৪৪০টি আসনে ১১ হাজার ৫৩৪ জন, সপ্তম শ্রেণিতে ১৬ হাজার ৪৪০ আসনে ৮ হাজার ১০৩ জন, অষ্টমে ১৬ হাজার ৪৪০ আসনে ৭ হাজার ২০৯ জন এবং নবম শ্রেণিতে ৩৪ হাজার ৯২০ আসনে ২০ হাজার ৬১৩ জন ভর্তি হয়েছে। চারটি স্তরে মোট ৪৭ হাজার ৪৫৯ জন ভর্তি হয়েছে।
জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে মোট ১৪টি ট্রেড চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রতিটিতে চারটি করে ট্রেড রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এসব ট্রেডের উপরে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। কারিগরি শিক্ষার বিস্তারে স্কুল পর্যায়ে ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর ফারুক বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা থেকে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির পর কারিকুলাম বুঝতে কিছুটা কঠিন মনে হয়ে থাকে। সে কারণে কেউ কেউ ঝড়ে পড়ছে। সে কারণে ভোকেশনাল শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রি-ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়েছে। এতে ভর্তির ক্ষেত্রে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে।প্রথমবারের মতো প্রি-ভোকেশনালে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হলেও মোট আসনের অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। তবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির হার বেশি হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে কিছুটা কম রয়েছে। অনেক স্কুলে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে টিসি দিতে চায় না বলে ইচ্ছা থাকলেও কেউ কেউ ভর্তি হতে পারেনি। তবে আগামী বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
Discussion about this post