বিশেষ প্রতিবেদক
চলতি বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা ১৯ মে এবং ১৮ জুলাই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে পারে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার টেস্ট পরীক্ষা ৩ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে। এসএসসির চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ মে আর শেষ হবে ৯ জুন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার টেস্ট পরীক্ষা শেষ করতে হবে ৭ জুনের মধ্যে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে ১৮ জুলাই। ৩১ আগস্ট এ পরীক্ষা শেষ হবে।
জানা যায়, গতবছর টেস্ট পরীক্ষা না হলেও এবার গ্রহণ করা হবে টেস্ট পরীক্ষা। এছাড়া ধর্ম ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয় বাদ দেওয়া হতে পারে। আর বিভিন্ন বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৫০ নম্বর এবং সময় তিন ঘণ্টার পরিবর্তে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করা হতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, করোনার কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস শেষ করতে পারেনি। তাই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তাব এসেছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সভা সূত্র আরও জানায়, এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানে প্রতিটি বিষয়ে পরীক্ষার পূর্ণমান হবে ৫০ নম্বর। পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় থাকবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলা প্রথম পত্রে এমসিকিউ অংশে ২০ নম্বরে এবং লিখিত অংশে ৩০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাংলা দ্বিতীয়পত্রে রচনামূলক অংশে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে দুই পাবলিক পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রে লিখিত অংশের ছয়টি প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো তিনটির উত্তর দিতে হবে। যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই সেগুলোর লিখিত অংশে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে এমন বিষয়ে লিখিত অংশে আটটি প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো তিনটির উত্তর দিতে হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
গত ২১ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। তবে ২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উন্মুক্ত স্থানে ও ভবন অভ্যন্তরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০’র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তারা অবশ্যই কোভিড টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। এ ছাড়া সব স্কুল, কলেজ এবং সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
Discussion about this post