শিক্ষার আলো ডেস্ক
করোনায় বিপর্যস্ত ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে আসন্ন বাজেটে (২০২২-২৩ অর্থবছর) শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন- স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। লিখিত বক্তব্যে তিনি আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো-
মুজিববর্ষের মধ্যেই শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া। এফিলিয়েশনপ্রাপ্ত সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি (স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি, অনার্স/মাস্টার্সসহ) প্রতিষ্ঠানকে শিগগির এমপিওভুক্ত করা। শিক্ষা প্রশাসন ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মাউশিসহ বিভিন্ন অধিদপ্তর, শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আসন্ন ঈদের আগেই উৎসব ভাতা, অন্তবর্তীকালীন সরকারি অনুরূপ বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া।
এছাড়া করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা কিংবা বিশেষ বৃত্তি বা অনুদানের ব্যবস্থা করা। সব শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ডিভাইস, খাতা-কলমসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী দেওয়া এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে (স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি) শিক্ষার্থীদের দুপুরে সরকারি উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করা।
শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা কার্যকর করা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুর্দশা লাঘবে শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং গভর্নিং বডি ও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
উল্লিখিত আট দফা পূরণের লক্ষ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশের জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে।
প্রফেসর সাজিদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান পান্না, অধ্যক্ষ এসএস আকরামুল হক, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, উপাধ্যক্ষ হরিচাঁদ মন্ডল সুমন, অধ্যক্ষ সলিম উল্লাহ সেলিম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post