নিজস্ব প্রতিবেদক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান ইস্যু নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে বৈঠক করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে নতুন করে চারটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে বৈঠকে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা। আন্দোলন শুরুর পর থেকে এসব দাবি আগে কখনো উপস্থাপন করেননি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুবিভাগের সেক্রেটারিসহ তিন কর্মকর্তা।
শিক্ষার্থীদের নতুন চারটি প্রস্তাবনা হলো-
*অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হককে শাবিপ্রবিতে এমিরেটাস অধ্যাপক করা।
*দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাতে প্রয়োজনীয় বাজেট বাড়ানো এবং সঠিক ব্যয় নিশ্চিতকরণ।
*বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোডিং সিস্টেম চালু করা।
*শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পিএইচডিসহ ডেমো ক্লাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মতামত যাচাই করা।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাস থেকে রওনা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- মোহাইমিনুল বাশার রাজ, ইয়াসির সরকার, নাফিসা আনজুম, সাব্বির আহমেদ, আশিক হোসাইন মারুফ, সাবরিনা শাহরিন রশীদ, সুদীপ্ত ভাস্কর অর্ঘ, শাহরিয়ার আবেদিন, আমেনা বেগম, মীর রানা ও জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার ও ইয়াসমিন হক ম্যামকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। উনি উচ্চ মহলের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের জানাবেন। এটি না মানলে আমরা আলোচনা করে বাকি সিদ্ধান্ত নেব। ’
বৈঠকে যোগ দিতে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে প্লেনে করে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দুপুর ১২টায় সিলেট সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েকশ ছাত্রী।
১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।
২৬ জানুয়ারি সকালে অনশনস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক। তারাই শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান।
Discussion about this post