বিশেষ প্রতিবেদক
করোনা শনাক্তের হার প্রতিদিন ক্রমান্বয়ে কমছে । তাই এ মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। গত ২১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি এই ছুটি আর বাড়াতে চননা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, করোনার সংক্রমণ দিন দিন কমতে থাকায় শীঘ্রই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। গতকাল শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, করোনা বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা চেষ্টা করি যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয়। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এখন প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের হার কমছে। আশা করি খুব দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিং বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। শনাক্ত ও মৃত্যর সংখ্যা কমেছে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার হিসেবে করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ২৬৮ জন। এই দিন পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কম। মৃত্যর সংখ্যাও কমেছে। বৃহস্পতিবার করোনায় মারা গেছেন ৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা নেমে আসে ২৭ এ। করোনার কারণে দ্বিতীয় ধাপের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয় ২০ জানুয়ারি। ওইদিন করোনা শনাক্তের হার ছিলো ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে করোনার শনাক্ত ও মৃত্যর হার কমতে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসও শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন করে সরকারি বিধি নিষেধ না আসলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে ক্লাস চালু করার ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও। আরও বেশ কটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা করেছে।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা পুরো শিক্ষাংগনে একধরণের স্থবিরতা এনে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অতিশীঘ্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ;দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে এবং আন্দোনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বেশ কটি সংগঠন।। অভিভাবকদের অভিযোগ, করোনার মধ্যে বাণিজ্য মেলা চলেছে। অফিস-আদালত খোলা রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর মধ্যে যা ক্ষতি হয়ে গেছে তা পূরণ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
তাই সার্বিক বিবেচনায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Discussion about this post