নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চ শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয়বার ভর্তিপরীক্ষার সুযোগ দিতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে রোববার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধে ভর্তিচ্ছুদের দাবির মধ্যেই ইতিবাচক মত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা যদি একেবারে বৈশ্বিক পরিস্থিতি, বিশ্বমানের কথা চিন্তা করি তাহলে আসলে কোনো ‘বার’ থাকার কথা না। কিন্তু আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক করেছে একবারের বেশি না, আগে দুবার দেওয়া যেতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একবার দেওয়ার পর আরও সুযোগ ছিল। এখন সেই সুযোগ রাখা হচ্ছে না। এটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তারা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি ও ইউজিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ‘আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের সুযোগ যদি বাড়াই তাতে তো অসুবিধা নেই। আপনি যে মেধার শিক্ষার্থী নেবেন আপনি তো সেই মেধার শিক্ষার্থী নিচ্ছেন। আপনি তো তার থেকে মেধার মান কমিয়ে নিচ্ছেন না। আপনি যদি একাধিক সুযোগ দিয়ে একই মেধার শিক্ষার্থীকে নেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি থাকা উচিত না। আমরা যেমন কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের যে বাধা ছিল সেটাও তুলে দিয়েছি। ’
তিনি বলেন, আমরা যারা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় পড়ার সুযোগ পেয়েছি, বিভিন্ন বয়সে পড়েছি। সেখানে কোথাও কখনও বয়স, কতদিন মাঝখানে ব্রেক অব স্ট্যাডি আছে- এগুলোর কোনোটাই কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াইনি। আমাদেরও এক সময় হয়তো সেই জায়গায় যেতে হবে। এখন সেটা কি এখনই যেতে পারবো নাকি আরও কিছু সময় লাগবে সেটা হয়তো আমাদের বিবেচনার বিষয়। শিক্ষাকে সবার জন্য যেন আমরা যে কোনো পর্যায় থেকে যে কেউ একটা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায় সেই সুযোগটা আমাদের করে দিতে হবে।
এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন।
Discussion about this post