শিক্ষার আলো ডেস্ক
উন্নয়নশীল দেশের জলবায়ুবিষয়ক সেরা ছয় নারী বিজ্ঞানীর একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী। অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (ওডব্লিউএসডি) তাকে এই সম্মাননা দেন।
আগামী ২৪ মার্চ তুরস্কের ইস্তাম্বুল আইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
উন্নয়নশীল দেশের আরও পাঁচ নারী বিজ্ঞানীর সঙ্গে তিনি এ বছরের ওডব্লিউএসডি-এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পাচ্ছেন। বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জলজ পরিবেশবিদ গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিপন্ন জলাশয় ও প্রাণিকুল নিয়ে গবেষণা করছেন। ২০০৫ সাল থেকে তিনি তার গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন।
২০১৯ সাল থেকে তিনি প্লাস্টিকদূষণের মাত্রা ও এর ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। জেলেরা ব্যবহারের অনুপোযোগী নাইলনের জাল নদী বা জলাশয়ে ফেলে দেন এতে সমুদ্র দূষিত হয়। জেলেদের এ দূষণ বন্ধে করতে জেলেদের ফেলে দেওয়া নাইলন দিয়ে কার্পেট বা কাপড় বানানো শেখানো হবে। এতে দূষণ বন্ধ হবে, বিকল্প আয়ও হবে।
গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা বলেন, যে কোন একটি জেলে সম্প্রদায়ে গিয়ে এ গবেষণাটির ফলাফল প্রয়োগ করার পরিকল্পনা আছে তার। তবে এটি একটি ব্যায় সাপেক্ষ প্রকল্প। এ গবেষণার জন্য ফান্ড পেলে তখনই উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে।
পুরুষ্কারের পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ পুরস্কার আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পুরস্কার এ দেশের নারী বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করবে। এতে জলজ প্রাণী ও জলাশয় রক্ষার কাজ আরও জোরদার হবে।
২০১৩ সাল থেকে ওডব্লিউএসডি-এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু উন্নয়নশীল দেশের নারী বিজ্ঞানীদেরই দেওয়া হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি নারী বিজ্ঞানী দিবসে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কার পাওয়া অন্য বিজ্ঞানীরা হলেন রুয়ান্ডার ইউনিভার্সিটি অব রুয়ান্ডার মরিওম মোজাওয়ামারিয়া, ইয়েমেনের আল-সাঈদ ইউনিভার্সিটির আবির আহমেদ কায়েদ আহমেদ, নিকারাগুয়ার ইনস্টিটিউটো দ্য জিওলোজিয়া ই জিওফিজিকা–এর হেদ্দি কেলডেরোন, শ্রীলংকার ইউনিভার্সিটি অব মোরাচুয়ার আশানি চাবিন্ডা রানাতুঙ্গা ও গুয়াতেমালার সান কার্লোস ইউনিভার্সিটির ফ্লোর ডে মায়ো গঞ্জালেজ মিরান্ডা।
Discussion about this post