খেলাধূলা ডেস্ক
গত সেপ্টেম্বরে কোভিড বিধিনিষেধের কারণে পণ্ড হয় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় কোভিভ নিয়ম ভেঙ্গেছে দাবি করে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ম্যাচের সময় মাঠে উপস্থিত হয়ে ওই চার খেলোয়াড়কে সরিয়ে নিতে গেলে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ।
দুই দেশের ফেডারেশন ও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা (কনমেবোল) সমাধানের জন্য দারস্থ হয় ফিফার। ৬ মাস যাচাই বাছাই ও সবপক্ষের কথা শোনার পর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ফিফা।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা জানিয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচটি আবারও খেলা হবে। তবে সেটি হবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। ভেন্যু নিশ্চিত করবে কনমেবোল।
নিজেদের করোনা প্রটোকল দেখিয়ে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে নিয়ে প্রশ্ন তোলে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগ। যে কারণে সেই ম্যাচ আর পুরোটা খেলা সম্ভব হয়নি। তখন বলাবলি হচ্ছিল, হয়তো যেকোনো এক দলকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হতে পারে।
তবে সে পথে হাঁটেনি ফিফা। উল্টো আর্জেন্টিনার আলোচ্য সেই চার খেলোয়াড়কে দুই ম্যাচ করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভিন্ন দুই অপরাধে অর্থ জরিমানা করা হয়েছে ব্রাজিলকে। শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনাকেও দেওয়া হয়েছে জরিমানার শাস্তি।
সোমবার ঘোষিত এই রায়ে প্রথমত নিরাপত্তা ও নির্দেশনা বিঘ্নের দায়ে ব্রাজিল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে যথাযথ কারণ না দেখিয়েই খেলোয়াড় মাঠে নামিয়ে দেওয়া আর্জেন্টাইন অ্যাসোসিয়েশন গুনছে ২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা।
এই শাস্তির সঙ্গে ম্যাচটি পরিত্যক্ত করার অপরাধে দুই দলকেই সমান ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে জরিমানা করা হয়েছে। সবশেষ আর্জেন্টিনার সেই চার ফুটবলার এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জিওভানি লো সেলসো এবং ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে দুই ম্যাচ করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, ম্যাচটি পরিত্যক্ত বা বাতিল ঘোষণা করেনি ফিফা। বরং উপযুক্ত আন্তর্জাতিক বিরতি দেখে খুব শিগগিরই আবারও দুই দলের লড়াই হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ম্যাচের চূড়ান্ত বা সম্ভাব্য- কোনো সূচিই জানাতে পারেনি ফিফা।
Discussion about this post