নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার জাতীয় প্রমিতমান নির্ধারণের লক্ষ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে ‘জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল’ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ জানান, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হবে ‘জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল’। প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের জাতীয় প্রমিতমান (ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড) ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যূনতম মান প্রতিষ্ঠা করতে এই কমিশন গঠন করা হবে। এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা কাউন্সিল’ আইনের খসড়া প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। শিগগিরই মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যূনতম মান প্রতিষ্ঠা ও মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করবে এই সংস্থা। এবং শিক্ষকদের ন্যূনতম প্রমিতমান অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া হবে।’
কাউন্সিলের কাঠামোতে শিক্ষামন্ত্রী কাউন্সিলের সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সহসভাপতি হবেন। ২৬ সদস্যবিশিষ্ট কাউন্সিলের সদস্যসচিব থাকবেন কাউন্সিল কার্যালয় সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সদস্য থাকবেন।
এবং সরকার মনোনীত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ, বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রয়েছে সরকার মনোনীত এমন দুই ব্যক্তি কাউন্সিলের সদস্য থাকবেন।
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কর্মপরিধির মধ্যে উল্লেখ করা হয় , শিক্ষক শিক্ষা প্রশিক্ষণের গুণগতমান নিশ্চয়তায় পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং জাতীয় প্রমিতমানের উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে এই কাউন্সিল। শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগতমান নিশ্চিত করতে যে রকম পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করবে তা-ও করতে পারবে কাউন্সিল। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য।
Discussion about this post