কোভিড-১৯ এর জিনগত গঠণে রোগীদের মধ্যে ভিন্নতা, বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী প্রোটিনের বিভিন্ন গঠণ ও ভাইরাসটির উৎপত্তিগত বিশ্লেষনসহ বেশকিছু বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষকরা।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কোভিড-১৯ এর গবেষণায় কাজ করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোভিড-১৯ নিয়ে জনসাধারণের সচেতনতার প্রকৃতি ও তা কার্যকর করতে বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন। এটি পরিচালনা করছেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল।
কোভিড-১৯ এর জিনগত গঠণে রোগীদের মধ্যে ভিন্নতা, বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী প্রোটিনের বিভিন্ন গঠণ ও ভাইরাসটির উৎপত্তিগত বিশ্লেষন নিয়ে গবেষণা করছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. আদনান মান্নান।
বর্তমান করোনা-ভাইরাস পরিস্থিতি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিতে মানুষকে কিভাবে প্রভাবিত করছে- এ নিয়ে বাংলাদেশে সহযোগী হিসেবে আন্তর্জাতিক গবেষণায় কাজ করছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অলি আহমেদ পলাশ।
কোভিড-১৯ এর অবস্থান ও বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রকোপ নির্ণয়ে কোভিড ট্র্যাকার অ্যাপস উদ্ভাবন করেছেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আরিফ ইফতেখার মাহমুদ।
বিআইটিআইডিতে করোনা শনাক্তকরণ দলের সঙ্গে কাজ করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সরকারের কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক দলের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের আরটিপিসিআর এ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আসমা সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, রক্তিম বড়ুয়া ও সৈয়দ লোকমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ দলের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পিপিই এবং যাতায়াতের ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন।
Discussion about this post