নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর ভিসি অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করে গেছেন এবং বাংলাভাষা ও বাংলাভাষীদের দাবির কথা বলে গেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রচলন হয়েছে। আমাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে জাতির পিতার ভাষা আন্দোলনের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলা ভাষায় সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং সকল মাতৃভাষাকে সম্মান করা।
আজ সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো বিচক্ষণ নেতা পৃথিবীতে বিরল। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ সর্বক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণতার কারণে বাঙালি সফল হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের সফলতার মাধ্যমে বাঙালি আত্মবিশ্বাসী হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য।
ভিসি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি সকলকে শ্রদ্ধা করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় ভিসি অধ্যাপক ড.মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন শাখায় যদি সাফল্য অর্জন করতে হয় এবং টিকে থাকতে হয় তবে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষায় জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আমদের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা অবশ্যই আমাদের মাতৃভাষায় দিতে হবে।
তিনি বলেন, শিল্প বিপ্লবের অনেক ধাপ অতিক্রম করে এখন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। যে কোন শিল্প বিপ্লবেই একটি উচ্চতর পর্যায়ের প্রক্রিয়া থাকে।যাকে আমরা সেই সময়কার জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি বলি। বর্তমান সময়েও উচ্চ পর্যায়টা আছে এবং সেটা হচ্ছে বিগ ডাটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, আইওটি ইত্যাদি। এই উচ্চ পর্যায়কে ধারণ করতে মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা করতে পারলে আমরা আরও উন্নত হয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবো।
অনুষ্ঠানে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব)মোঃ আশরাফুজ্জামান,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত)ফারজানা আক্তার,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামছুদ্দীন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post