অনলাইন ডেস্ক
ঝড় ইউনিস তাণ্ডব চালিয়েছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। এই ঝড়ে উপড়ে গেছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির বোটানিক গার্ডেনে থাকা আইজ্যাক ‘নিউটনের আপেলগাছটিও’।
বাগানের কিউরেটর ড. স্যামুয়েল ব্রকিংটন বলেন, গাছটি ১৯৫৪ সালে রোপণ করা হয়েছিল। এটি বোটানিক গার্ডেনে ৬৮ বছর ধরে ছিল।
আইজ্যাক নিউটন ১৬৪২ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই বাবাকে হারান। একদিন মাথার ওপর আপেল পড়ায় কিন্তু বেশ অবাক হয়েছিলেন নিউটন। আপেলটা কেন মাথায় পড়বে? মহাশূন্যেও তো উড়ে যেতে পারত! আর এ থেকেই আবিষ্কার করেন বিখ্যাত মহাকর্ষ সূত্র। নিউটন মারা গেছেন ১৭২৭ সালে। ১৮২০ সালে সেই আপেলগাছের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল প্রচণ্ড ঝড়। গাছের বেশির ভাগ ডাল ভেঙে পড়ে যায় মাটিতে। আর সেটাও কিন্তু নিউটনের সূত্র মেনে, মানে মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণেই। ভেঙে পড়া সেই ডালপালা পাঠানো হয় বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে নতুন আপেলগাছও গজায়। সেই সব গাছের মধ্যে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির এই গাছটিও ছিল।
বাগানের কিউরেটর ড. স্যামুয়েল ব্রকিংটন জানান, ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে নিউটনের মূল গাছ থেকে বের হওয়া তিনটি গাছ ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুঃখজনক ক্ষতি। তবে ওই গাছ থেকে পাওয়া আরও আপেলগাছ আমাদের সংগ্রহে রয়েছে। আশা করছি এই আপেলের গাছ আমাদের সংগ্রহে থাকবে।’
ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনে মূল গাছটি রয়েছে। সেটি এখনো বেঁচে আছে। ১৯ শতকে ঝড়ে একবার গাছটি উপড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু গ্রাফটিং করে গাছটির বংশবিস্তার করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে গাছটির ক্লোন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গাছটির আপেলও গুণগত মানের। এর প্রজাতির নাম ‘ফ্লাওয়ার অব কেন্ট’। এই গাছের চারা নিউটনের স্মৃতিতে বিভিন্ন সময়ে ইংল্যান্ডের নানা স্থানে রোপণ করা হয়েছে। এমনকি ভারতের পুনের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সেও আনা হয়েছিল এ গাছের চারা।
Discussion about this post